HSC ICT Chapter-1 পাঠ-৩: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা?

আজকের এই পোস্টে এইচএসসি আইসিটি বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের টপিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা জানবো। আলোচনা শেষে নিচে তোমাদের জন্য এই টপিকের উপরে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া থাকবে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি(Virtual Reality):

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
Virtual Reality

প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞাননির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual Reality) বা অনুভবে বাস্তবতা কিংবা কল্পবাস্তবতা বলে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম অঞ্চলে ঘুরে আসা, মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল সংযোগের উপর দিয়ে হাঁটা কিংবা জুরাসিক পার্কের সেই অতিকায় ডায়নোসরের তাড়াও খাওয়া যায়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

ভার্চুয়াল জগতে বাস্তবকে শুধু উপলদ্ধি করা যায়। যেমন-বাস্থব জগতে মানুষ শূন্যে উড়ে যেতে পারে না, ১২০ তলা ভবন থেকে লাফ দেওয়া কল্পনাও করতে পারে না। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাস্তব জগৎ তৈরি করে।

এসব বিষয়গুলো উপলদ্ধি করা যায়, যা বাস্তবে সম্ভব হয় না। ব্যবহারকারীকে মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে (Head Mounted Display-HMD), হাতে একটি ডেটা গ্লোভ (Data Glove) বা একটি পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট (Body Suit) পরতে হয় এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তাকে কোন রকম শারীরিক ঝুঁকি বা বিপদ ছাড়াই বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ নিমজ্জিত হয়ে যায়। একটি typical VR format-এ একজন ব্যবহারকারী স্টেরিওস্কোপিক (stereoscopic) বা ত্রিমাত্রিক স্ক্রিন সংবলিত একটি হেলমেট পরে, এবং তার মধ্য দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত অ্যানিমেটেড বা প্রাণবন্ত ছবি দেখে।

আধুনিক চিকিৎসা সেবা, বিমান প্রশিক্ষণ, মহাশূন্য অভিযান, ডেক্সটপে তথ্য সংরক্ষণ প্রভৃতি কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে।

প্রধান ব্যবহারঃ

ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ, কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, বিমান চালনার প্রশিক্ষণ, সেনাবাহিনীতে যুদ্ধ প্রশিক্ষণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিংয়ের নানা নিয়ম-কানুন খুব সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তবের মতো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে প্রশিক্ষণার্থী খুব সহজেই বাস্তবে গাড়ি চালানোর সাহস অর্জন করে দ্রুত গাড়ি চালনা শিখতে পারে।

বাংলাদেশ পুলিশের মহিলা পুলিশদেরকে ড্রাইভিং শেখানোর জন্য ভার্চুয়াল কার ব্যবহার করা হয়।

নেতিবাচক দিকঃ

চড়া দাম, জটিল মেকানিজম, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কল্পনার জগতে বিচরণ, মনুষ্যত্বহীনতা।

এই টপিক থেকে আসতে পারে এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলঃ

ক-অংশ – জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ (১ নম্বর)

১। Virtual Reality কী?

উত্তর: virtual Reality: ভার্যয়্যাল রিয়েলিটি বা VR হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম যাতে মডেলিং (Modelling) ও অনুকরণবিদ্যার (Simulation) প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন বা উপলব্ধি করতে পারে।

ফ্লাইট সিমুলেশন কি?

উত্তর: ফ্লাইট সিমুলেশনঃ ফ্লাইট সিমুলেশন হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে কাজে লাগিয়ে বিশেষায়িত কম্পিউটার সিস্টেমসমূহ যেমন-ফ্লাইট সিমুলেটরসমূহের মাধ্যমে সিভিলিয়ান কিংবা মিলিটারি পাইলটদেরকে সত্যিকারের এয়ারক্র্যাফট ছাড়াই সেটি চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

৩। টেলিপ্রিজেন্স কি?

উত্তরঃ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক দূর থেকে কাজ পরিচালনার প্রক্রিয়াকে টেলিপ্রিজেন্স বলা হয়।

খ-অংশ – অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরঃ (২ নম্বর)

১। প্রযুক্তি ব্যবহারে মটর ড্রাইভি প্রশিক্ষণ সম্ভব-কথাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিংয়ের নানা নিয়ম-কানুন খুব সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তবের মতো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে প্রশিক্ষণার্থী খুব সহজেই বাস্তবে গাড়ি চালানোর সাহস অর্জন করে দ্রুত গাড়ি চালনা শিখতে পারে।

বাংলাদেশ পুলিশের মহিলা পুলিশদেরকে ড্রাইভিং শেখানোর জন্য ভার্চুয়াল কার ব্যবহার করা হয়।

প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব কতটুকু? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, যেখানে ব্যবহারকারি ঐ পরিবেশ সম্পর্কে বাস্তবের অনুকরণে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

আধুনিক চিকিৎসা সেবা, বিমান প্রশিক্ষণ, মহাশূন্য অভিযান, ডেক্সটপে তথ্য সংরক্ষণ প্রভৃতি কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে।

বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ঘ্রায় দেখা সম্ভব।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধমে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভবপর হয়। কল্পনার পাখায় ভর করে ইচ্ছে করলে চাঁদের মাঠিতে হেঁটে আসা, প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম অঞ্চলে ঘুরে আসা, মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল সংযোগের উপর দিয়ে হাঁটা কিংবা জুরসিক পার্কের সেই অতিকায় ডায়নোসরের ছাড়াও খাওয়া যায়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃত্তি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

বাস্তব জগৎ ও ভাচুয়াল জগতের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

উত্তর: প্রকৃত অর্থে বাস্তবে যা ঘটে তাই বাস্তব জগৎ, পক্ষরে বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল জগৎ বলে।

ভার্চুয়াল জগতে বাস্তবকে শুধু উপলদ্ধি করা যায়। যেমন-বাস্থব জগতে মানুষ শূন্যে উড়ে যেতে পারে না, ১২০ তলা ভবন থেকে লাফ দেওয়া কল্পনাও করতে পারে না।

কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাস্তব জগৎ তৈরি করে। এসব বিষয়গুলো উপলদ্ধি করা যায়, যা বাস্তবে সম্ভব হয় না।

প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিংয়ের নানা নিয়ম-কানুন খুব সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তবের মতো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে প্রশিক্ষণার্থী খুব সহজেই বাস্তবে গাড়ি চালানোর সাহস অর্জন করে দ্রুত গাড়ি চালনা শিখতে পারে।

বাংলাদেশ পুলিশের মহিলা পুলিশদেরকে ড্রাইভিং শেখানোর জন্য ভার্চুয়াল কার ব্যবহার করা হয়।

৬। অবাস্তবকে বাস্তবের ন্যায় দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির সাহায্যে বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনা দেখা সম্ভব।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণরূপে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ নিমজ্জিত হয়ে যায়। একটি typical VR format-এ একজন ব্যবহারকারী স্টেরিওস্কোপিক (stereoscopic) বা ত্রিমাত্রিক স্ক্রিন সংবলিত একটি হেলমেট পরে, এবং তার মধ্য দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরণকৃত অ্যানিমেটেড বা প্রাণবন্ত ছবি দেখে।

এই কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতে গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সর দ্বারা প্রভাবিত করা হয়। গতি নিয়ন্ত্রণকারী এই সেন্সরের মাধ্যমে স্ক্রিন প্রদর্শিত ছবির গতিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীর গতির সাথে মেলানো হয়। যখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীর গতির পরিবর্ত হয় তখন স্ক্রিনে প্রদর্শিত দৃশের গতিও পরিবর্তিত হয়। এভাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারী কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতের সঙ্গে মিশে যায় এবং সেই জগতের একটি অংশে পরিণত হয়।

HSC ICT Chapter-1 পাঠ-৩: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual Reality) ও এর ব্যবহার

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটিভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি

Leave a Reply