HSC ICT প্রথম অধ্যায়ের ক্রায়োসার্জারী, মহাকাশ অভিজান ও আইসিটি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা এর উপরে আলোচনা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা?

আজকের পোস্টে আমরা এইচ এস সি আইসিটি বইয়ের পাঠঃ- ০৫ এর ক্রায়োসার্জারী, মহাকাশ অভিজান ও আইসিটি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা এর উপরে আলোচনা করব। তো চলো শুরু করা যাক।

ক্রায়োসার্জারি:

ক্রায়োসার্জারি(Cryosurgery) হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক বা রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করা যায়।

ঐতিহাসিকভাবেই বেশ কিছু রোগের চিকিৎসার জন্য ক্রায়োসার্জারিকে ব্যবহার করা হতো যাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিপজ্জনক চর্ম সংক্রান্ত সমস্যাও রয়েছে।

Cryosurgery And Space Expedition
Cryosurgery

যে তাপমাত্রায় বরফ জমাট বাঁধে দেহকোষে তার চাইতেও নিম্ন তাপমাত্রার ধ্বংসাত্মক শক্তির সুবিধাকে গ্রহণ করে ক্রায়োসার্জারি কাজ করে।

এতে নিম্ন তাপমাত্রায় দেহকোষের অভ্যন্তরস্থ বরফ ক্রিস্টালগুলোর বিশেষ আকার বা বিন্যাসকে ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে দেয়া যায়।

ক্রায়োসার্জারির ক্ষেত্রে সাধারণত পৃথক পৃথকভাবে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইডের তুষার, আর্গন এবং সমন্বিতভাবে ডাইমিথাইল ইথার ও প্রোপেন এর মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। এদের কোনো কোনোটি −41°C তাপমাত্রার উদ্ভব ঘটায়।

মহাকাশ অভিযান:

পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যের রহস্য আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে চালিত অনুসন্ধান বা অভিযানকে মহাকাশ অভিযান বলা হয়।

istockphoto 1351237326 170667a
Cryosurgery And Space Expedition

পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যে সম্পূর্ণ নতুন একটি মহাজাগতিক বিশ্বের আবিষ্কার সকলের মনকেই আন্দোলিত করে। প্রতিনিয়ত মহাবিশ্বকে জানার অবিরাম চেষ্টা চলছে। হচ্ছে বিস্তর গবেষণা।

আজ মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যতটুকু সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া কখনই অর্জন করা সম্ভব হতো না।

একবিংশ শতাব্দিতে মহাকাশ আবিষ্কারে আরও বেশি গবেষণার জন্য প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হচ্ছে। মহাকাশে মানুষ এবং রোবটিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে এই বিশ্ব এবং এতে বসবাসকারী লোকজনের জন্য তা বিরাট সুফল বয়ে এনেছে।

এই অধ্যায় থেকে আসতে পারে আমরা কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলঃ

ক-অংশ – জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ (১ নম্বর)

১। ক্রায়োসার্জারি কী?

উত্তর: ক্রায়োসার্জারি: ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়।

২। ক্রায়োসার্জারিতে ব্যবহৃত পদার্থগুলো কয়টি পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা যায়?

উত্তর: ক্রায়োসার্জারিতে ব্যবহৃত পদার্থগুলো দুইটি পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা যায়।

৩। মহাকাশ অভিযান কি?

উত্তরঃ পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যের রহস্য আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে চালিত অনুসন্ধান বা অভিযানকে মহাকাশ অভিযান বলা হয়।

খ-অংশ – অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরঃ (২ নম্বর)

ন্যূনতম ধকল সহিষ্ণু শল্যচিকিত্সা পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ ন্যূনতম ধকল সহিষ্ণু শল্যচিকিৎসা পদ্ধতিটি হলো ক্রায়োসার্জারি।

ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়।

কায়োসার্জারি কৌশল প্রয়োগ করে চিকিৎসা করাকে ক্রায়োথেরাপি বলে। ক্রায়োথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিতরে কমিয়ে -১২০°থেকে -১৬৫° সে. তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়।

এই সময় ক্রায়োপ্রোব বা একটি সূচের প্রান্ত দ্বারা টিউমার টিস্যুর ভিতরে খুব দ্রুত আর্গন গ্যাসের নিঃসরণ করানো হয়। তাপমাত্রার অত্যাধিক হাসের ফলে কোষের পানি জমাটবদ্ধ হয়ে ঐ টিস্যুর আটকা পড়ে গেলে এতে রক্ত ও অক্সিজেন পরিবহন সম্ভব নয়।

এর ফলে জমাটবদ্ধ অবস্থায় টিউমার টিস্যুটির ক্ষয় সাধিত হয়। আবার ক্রায়োপ্রোব বা সূচের প্রান্তে দিয়ে টিউমার টিস্যুটির ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে টিস্যুটির তাপমাত্রা ২০-৪০° সে, এ উঠানো হয়। তখন জমাটবদ্ধ টিউমার টিস্যুটির বরফ গলে যায় এবং টিস্যুটি ধ্বংস হয়ে যায়।

শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব‘- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। শীতলীকরণ প্রক্রিয়ার চিকিত্সা হল ক্রায়োসার্জারী।

ক্রায়োসার্জারি (Cryosurgery) হলো এমন একটি সিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক বা রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করা যায়।

যে তাপমাত্রায় বরফ জমাট বাঁধে দেহকোষে তার চেয়েও নিম্ন তাপমাত্রায় ধ্বংসাত্মক শক্তির সুবিধাকে গ্রহণ করে ক্রায়োসার্জির কাজ করে। এতে নিম তাপমাত্রায় দেহকোষের অভ্যন্তরস্থ বরফ ক্রিস্টালগুলোর বিশেষ আকার বা বিন্যাসকে ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে দেয়া যায়।

ক্রায়োসার্জারির ক্ষেত্রে সাধারণ পৃথক পৃথকভাবে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুষার, আর্গন এবং সমন্বিতভাবে ডাইমিথাইল ইথার ও প্রোপেন এর মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। এদের কোনো কোনোটি- 41°C তাপমাত্রার উদ্ভব ঘটায়।

৩। ক্রায়োসার্জারির (Cryosurgery) মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব- বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর: ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব।

ক্রায়োসার্জারি কৌশল প্রয়োগ করে চিকিৎসা করাকে ক্রায়োথেরাপি বলে। ক্রায়োথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিতরে কমিয়ে -১২০°~-১৬৫° সে. তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়। এই সময় ক্রায়োলোব বা একটি সূচের প্রান্ত দ্বারা টিউমার টিস্যুর ভিতরে খুব দ্রুত আর্গন গ্যাসের নিঃসরণ করানো হয়।

তাপমাত্রার অত্যাধিক হ্রাসের ফলে কোষের পারি জমাটবদ্ধ হয়ে ঐ টিস্যুর আটকা পড়ে গেলে এতে রক্ত ও অক্সিজেন পরিবহন সম্ভব নয়। এর ফলে জমাটবদ্ধ অবস্থায় টিউমার টিস্যুটির ক্ষয় সাধিত হয়।

আবার ক্রায়োপ্রোব বা সূচের প্রান্ত দিয়ে টিউমার টিস্যুটির ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে টিস্যুটির তাপমাত্রা ২০°-৪০° সে. এ উঠানো হয়। তখন জমাটবদ্ধ টিউমার টিস্যুটির বরফ গলে যায় এবং টিস্যুটি ধ্বংস হয়ে যায়।

নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা।

উত্তর: ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি কৌশল প্রয়োগ করে চিকিত্সা করাকে ক্রায়োথেরাপি বলে।

ক্রায়োথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিতরে কমিয়ে – ১২০°~-১৬৫° সে. তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়। এই সময় ক্রায়োপ্রোব বা একটি সূচের প্রান্ত দ্বারা টিউমার টিস্যুর ভিতরে খুব দ্রুত আর্গন গ্যাসের নিঃসরণ করানো হয়। তাপমাত্রার অত্যাধিক হ্রাসের ফলে কোষের পারি জমাটবদ্ধ হয়ে ঐ টিস্যুর আটকা পড়ে গেলে এতে রক্ত ও অক্সিজেন পরিবহন সম্ভব নয়।

এর ফলে জমাটবদ্ধ অবস্থায় টিউমার টিস্যুটির ক্ষয় সাধিত হয়। আবার ক্রায়োপ্রোব বা সূচের প্রান্ত দিয়ে টিউমার টিস্যুটির ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে টিস্যুটির তাপমাত্রা ২০°-৪০° সে, এ উঠানো হয়। তখন জমাটবদ্ধ টিউমার টিস্যুটির বরফ গলে যায় এবং টিস্যুটি ধ্বংস হয়ে যায়।

৬। ক্ৰয়োসার্জারির ব্যবহার লিখ।

উত্তর: ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে সাধারণত স্তন, মলাশয়, চামড়ার ক্যান্সার, কিডনির, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা হয়।

টিউমারের আকার ছোট থাকা অবস্থায় ক্রায়োসার্জারি বেশ কার্যকরী চিকিৎসা। ক্রায়োসার্জারিতে অন্যান্য চিকিৎসার তুলনায় খরচ কম। ক্যান্সার চিকিত্সা ক্ষেত্রে সার্জারির তুলনায় ক্রায়োসার্জারি বেশি সুবিধা প্রদান করে। এতে রক্তপাত কম হয়। একটি সার্জারির তুলনায় কম আক্রমণাত্বক। এছাড়াও ক্রায়োসার্জারি প্রক্রিয়াটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম ব্যবহৃত হতে পারে।

৭। ক্রায়োসার্জারিতে কোন কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: ক্রায়োসার্জারিতে যেসব গ্যাস ব্যবহার করা হয় সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

i. কার্বন ডাইঅক্সাইড  ii. তরল নাইট্রোজেন iii. আর্গন iv. নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি v. ডাই-মিথাইল ইথার ও প্রোপেন

৮। আইসিটি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: কম্পিউটারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রামের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করাকে আইসিটি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা বলা হয়।

আইসিটি কম্পিউটারের মাধ্যমে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, গুণাগুণ ও দাম সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ এবং লেনদেন সম্পাদন করতে পারছেন বলে আজ উৎপাদন ব্যবস্থা সহজ ও আধুনিক হয়েছে।

ক্রায়োপ্রব বলতে কী বোঝ?  

উত্তরঃ কায়োসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতিতে যে নল ব্যবহার করে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই অক্সাইড, আর্গন ও ভাই মিথাইল ইথার ব্যবহার করা হয় তাকে ক্রায়োপ্রব বলে।

এটির সাহায্যে রোগাক্রান্ত টিস্যুর উপর প্রলেপ দেওয়া হয়। বিভিন্ন রোগ ও অসুখে চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে অসুস্থ ত্বকের পরিচর্যায় এটি বেশি ব্যবহার করা হয়।

তাছাড়া লিভার ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মুখ বা ওরাল ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ ত্বক সতেজ করে তুলতে এটি ব্যবহার করা হয়।

Cryosurgery Class YouTube Link:

Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery Cryosurgery

Leave a Reply